মাসআলাহ্
ক্ব-রীয়ানা মাসঅলাহ্ বিভাগ
ক্ব-রী হাফেজ মুফতি আব্দুল করিম নাদভী
প্রশ্নঃ এক মুষ্টির চেয়ে ও কম যারা দাড়ী কাটে তাদের ইমামতিতে নামাজ আদায় করা কতটুকু শরিয়ত সম্মত ? (ক্ব-রী হাফেজ মাওঃ শাহাদাত হোসেন সবুজ, জেলাপরিচালকঃ বাগের হাট)
উত্তরঃ এক মুষ্টির চেয়েও কম যারা দাড়ী কাটে শরিয়াত মোতাবেক তারা ফাসেক, আর ফাসেকের ইমামতিতে নামাজ আদায় করা মাকরুতে তাহরীমী। ( ফাতাওয়া শামী ১ঃ৫৫০)
প্রশ্নঃ ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান কি ? দলিল সহ জানতে চাই।
( ক্ব-রী হাফেজ মোঃ রেজাউল করিম, জেলাপরিচালকঃ যশোর)
উত্তরঃ কেহ কেহ বলেন ইমামের পিছনে মুক্তাদিদের জন্য সূরা ফাতিহা পড়া আবশ্যক তারা যে হাদিসটি পেশ করেন, তা শুধু ইমাম এবং একাকী নামাজ আদায় কারীর জন্য প্রযোজ্য। মুসল্লিদের জন্য ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা বা অন্য কোন সূরা পড়া নিষেধ। মুসল্লিদের কর্তব্য ইমামের কিরআত জোরে হোক বা আস্তে সর্বাবস্থায় চুপ থাকা। (দলিল নিম্নরুপ )
হয়রত মিকদাদ রঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন কিছু লোক রসুলুন্ন-হ (ছঃ) এর পিছনে সূরা-ক্বিরআত পড়ত, এটাকে নিষেধ করার জন্য সূরা আরাফের এই আয়াতটি নাযিল হয়। অর্থ- “যখন ক্বুরআ-ন তিলাওয়াত করা হয় তখন তোমরা মনযোগ সহ শ্রবণ কর এবং চুপ থাক কেননা আল্ল-হ তোমাদের উপর রহমত নাযিল করেন। (সূরা আরাফ-২০৪)
হযরত আবুহুরায়রা রঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন রসুলুল্ল-হ (ছঃ) এরশাদ করেন, নিশ্চয় ইমাম এজন্য বানানো হয়, যেন তার ইক্তিদা করা হয়, কাজেই ইমাম যখন তাক্ববীর বলেন তখন তোমরাও তাক্ববীর বল এবং যখন তিনি ক্বিরআত পড়েন তখন তোমরা চুপ থাক।(আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাযা)
হযরত আলী রঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন জনৈক সাহাবী রসুলুল্ল-হ (ছঃ) কে জিঙ্গাসা করেন, (ইয়া রসুলুল্লা-হ) ইমামের পিছনে আমি সূরা-ক্বিরআত পড়ব নাকি চুপ থাকব ? জবাবে রসুলুল্ল-হ (ছঃ)
বলেন- “না, বরং চুপ থাকবে, এটাই তোমার জন্য জথেষ্ট।” (বাই হাকী শারিফ)
বলেন- “না, বরং চুপ থাকবে, এটাই তোমার জন্য জথেষ্ট।” (বাই হাকী শারিফ)
এরুপ আরো ১৪/১৫ টি সাহিহ দ্বারা প্রমানিত যে ইমামের পিছনে সূরা-ক্বিরআত পড়া নিষেধ।
(ফাতোওয়া রাহমানিয়া-১ ম খন্ড, র্পঃ ২৯২-২৬৬)
প্রশ্নঃ বাংলা উচ্চারন ক্বুরআ-ন পড়া যায়েজ আছে কি।
(ক্ব-রী মাওঃ মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা পরিচালকঃ পাবনা)
উত্তরঃ বাংলা উচ্চারন ক্বুরআ-ন শারীফ লোখা এবং পড়া কোনটাই যায়েজ নয়। কারন বাংলা উচ্চারনে ক্বুরআ-নের মাদ মাখরাজ আদায় করা সম্ভব হয়না, যার দ্বারা অর্থের বিকৃতি হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ বাংলা উচ্চারন ক্বুরআ-ন পড়া যায়েজ আছে কি।
(ক্ব-রী মাওঃ মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা পরিচালকঃ পাবনা)
উত্তরঃ বাংলা উচ্চারন ক্বুরআ-ন শারীফ লোখা এবং পড়া কোনটাই যায়েজ নয়। কারন বাংলা উচ্চারনে ক্বুরআ-নের মাদ মাখরাজ আদায় করা সম্ভব হয়না, যার দ্বারা অর্থের বিকৃতি হয়ে যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url