দরসে হাদিস
হাদীসের আলোকে ক্বুরআ-নের ফযিলত
যাঁর আগমনে ধন্য এ ভুবন, যাঁর পরশে আলোকিত আধাঁর ধরা, যাঁর দরবারে সাদা-কালোর কোন ভেদাভেদ নেই, যাঁর আচরণ ও বক্তব্যে কৃষ্ণাঙ্গ হযরত বিলাল (রা) এবং শ্বেতাঙ্গ হযরত ওমর (রা) এর মর্যাদার কোন পার্থক্য নেই, সম্য-মৈত্রী-মমত্ববোধ এবং বিশ্ব-বোধ যে দরবারের বৈশিষ্ট্য, জাতি-ধর্ম-বর্ণ বংশ এবং ভাষা নির্বিশেষে সকলে সমমর্যাদা লাভ করে যাঁর মাহফিলে, যাঁর আদর্শ পূর্ণ পরিণত, সর্বযুগোপযোগী, সার্বজনীন, চিরন্তন, মহান, যিনি মানবতার উৎকর্ষ সাধনের, বিশ্ব-মানবের কল্যাণ অর্জনের নির্ভুল নকশা মহা গন্ত্র আল ক্বুরআ-ন নিয়ে আগমন করেছেন। যিনি আল্লহ তা‘আলার সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাবের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবীর পথ প্রদর্শন করেছেন, তার দরবারে মর্যাদার পার্থক্য শুধু ক্বুরআ-নের কারনে অর্থ্যাৎ যার সম্পর্ক ক্বুরআ-নের সাথে যত বেশী, তার মর্যাদা সে দরবারে তত অধিক। রাসূলুল্লহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা কালামে পাকের তিলাওয়াত, ব্যাখ্যা শিক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করেছেন এবং এ কালামে পাকের ক্বরী ও ব্যাখ্যা অর্জন কারীদের অসংখ্য ফযিলত বর্ণনা করেছেন। হযরত ওসমান (রা) হতে বর্ণিত-হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
“ তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যাক্তি যে নিজে ক্বুরআ-ন শরীফ শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।”
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url